• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৩ ডিসেম্বর, ২০২৪, ২৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

পরীমনি অসুস্থ, পিছিয়েছে সাক্ষ্যগ্রহণ 


সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ১, ২০২২, ০৬:১৩ পিএম
পরীমনি অসুস্থ, পিছিয়েছে সাক্ষ্যগ্রহণ 

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে আলোচিত নায়িকা পরীমনিসহ তিনজনের বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণ এক মাস পিছিয়েছে। আগামী ১ মার্চ সাক্ষ্যগ্রহণের শুনানির নতুন দিন ঠিক করেছেন আদালত। 

মঙ্গলবার (১ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১০-এর বিচারক মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম এই আদেশ দেন। গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন আদালতের সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর মাহাবুবুল হাসান।

মাহাবুবুল হাসান বলেন, “পরীমনি অন্তঃসত্ত্বা এবং ভাইরাস জ্বরে আক্রান্ত। এ কারণে সময় চেয়ে তার আইনজীবী আবেদন করেন। আবার মামলার বাদী র‍্যাব-১ এর ডিএডি মজিবুর রহমান করোনায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। উভয় পক্ষের শুনানি নিয়ে আদালত সাক্ষ্যগ্রহণের নতুন দিন ঠিক করেছেন। 

এর আগে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় গত ৫ জানুয়ারি পরীমনিসহ তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত।

অপর দুই আসামি হলেন : আশরাফুল ইসলাম ও কবির হোসেন। তবে জামিনে থাকা এ দুই আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে গত বছরের ৪ আগস্ট রাজধানীর বনানীতে পরীমনির বাসায় অভিযান চালায় র‍্যাব। পরে রাজধানীর গুলশান থানায় করা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। মামলার দুই মাসের মাথায় গত বছরের ৪ অক্টোবর আদালতে পরীমনিসহ তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র জমা দেয় পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। অভিযোগপত্রে ১৯ জনকে সাক্ষী করা হয়েছে।

মামলার অভিযোগপত্রে বলা হয়, চিত্রনায়িকা পরীমনির বাসা থেকে জব্দ মাদকদ্রব্যের বৈধ কোনো কাগজপত্র ছিল না। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে লিখিতভাবে সিআইডিকে জানানো হয়, ২০১৯-২০ অর্থবছরে পরীমনির নামে মদজাতীয় পানীয় সেবনের লাইসেন্স দেওয়া হয়েছিল। গত বছরের ৩০ জুন ওই লাইসেন্সের মেয়াদ শেষ হয়। মামলার অপর দুই আসামি আশরাফুল ও কবিরের মাধ্যমে পরীমনি বিভিন্নস্থান থেকে অবৈধ মাদকদ্রব্য সংগ্রহ করে বাসায় রেখেছিলেন। এছাড়া মাদকদ্রব্য রাখার বিষয়ে তিনি কোনো সন্তোষজনক জবাব দিতে পারেননি। পাশাপাশি পরীমনি তার গাড়িটি মাদকদ্রব্য বহনের কাজে ব্যবহার করতেন। 

গত বছরের ১৫ নভেম্বর পুলিশের দেওয়া অভিযোগপত্র আমলে নেন ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালত। পরে মামলাটি বিচারের জন্য ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১০-এ বদলি করা হয়।

Link copied!